চাঁদভা ইউনিয়নটি বিভিন্ন ধরনের কষি ও ই্তিহাস ঐতিহ্যে ভরপুর। উক্ত ইউনিয়নের প্রায় ৮০% জনগন কৃষি আবাদের উপর নির্ভর করে। তারা বিভিন্ন ধরনের কৃষি আবাদ করে। তার মধ্যে সীম চাষ সবচেয়ে বেশি এবং এই সীম চাষ করে বর্তমানে জনগণ অনেক লাভবান হচ্ছে।
আগাম সীম চাষে দারিদ্রতা জয় করছে চাঁদভা ইউনিয়নের কৃষকরা।অনেক স্থানে শীত আসার আগেই বাজারে উঠেছে এ শীত কালিন সবজি।
ভরা মৌসুমের আগেই যারা বাজারে সীম তুলতে পেরেছেন তারা দামও পাচ্ছেন ভাল।নতুন এ সীমের চাহিদা বেশি থাকায় প্রতি কেজি সীম ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।অনুকূল আবহাওয়ায় সীমের ভাল ফলন ও ভাল দাম পেয়ে আর্থিক ভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কয়েক বছর আগেও এই এলাকায় শুধুমাত্র বাড়ির আঙ্গিনায় ও আশে পাশের পতিত জমিতে নিজের পরিবারের চাহিদা মিটাতে সীম চাষ করত বাড়ির মেয়েরা।
অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ জনক হওয়ায় এখন সেই সীমের চাষ বাড়ির আঙ্গীনা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে মাঠের পর মাঠ।ইউনিয়নের হাপানিয়া, বেরুয়ান, সড়াবাড়িয়া, নাগদহ, ভরতপুর, চাঁদভা, সঞ্জয়পুর ,বয়রা, খামারকোদালিয়া, পারকোদালিয়া সহ সকল গ্রামের মাঠে মাঠে সবুজ সীমের সমারোহ।
বানিজ্যিক ভাবে সীম চাষ করে দারিদ্র জয় ও সংসারের স্বচ্ছলতা এনেছেন এসব গ্রামের হাজারও ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি।চলতি মৌসুমের শুরুতে সীম ক্ষেতে ছত্রাক ও পোকা মাকড়ের আক্রমন দেখা দিলেও কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও সুষ্ঠ পরিচর্চায় ফলন ভাল হচ্ছে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দামও রয়েছে ভাল।সীম বিক্রি করতেও কৃষকদের কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছেনা। জমি থেকেই পার্শবর্তী হাপানিয়া গ্রাম সহ, খিদিরপুর এবং পাশের উপজেলা ঈশ্বরদীর মূলাডুলি বাজারে বিভিন্ন জেলার পাইকাররা সীম কিনে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছে।
ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার জানান, এ ইউনিয়নে এবার সীম সহ শীতকালীন অন্যান্য সবজির ব্যপক পরিমান চাষ হয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS